1. [email protected] : Administrator :
  2. [email protected] : facfltd :
মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন'র ২খুনির ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে কুমিল্লা কারাগারে - Ekattor Bangladesh TV
May 21, 2025, 5:03 pm

মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন’র ২খুনির ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে কুমিল্লা কারাগারে

বিশেষ প্রতিবেদক
  • Update Time : Tuesday, March 8, 2022
  • 449 Time View

১৮ বছর পর চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর রেলওয়ে কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শিপন হাওলাদার ও নাইমুল ইসলাম ঈমনের ফাঁসি কার্যকর হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘাতক শিপন হাওলাদার (বন্দি নং ৫০৭৯/এ) চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর দক্ষিণ আমবাগানের মৃত ইউনুছ হাওলাদারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নন্দনসার গ্রামে। অপর ঘাতক নাইমুল ইসলাম ঈমন (বন্দি নং ৫৭৩৮/এ) চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার ডেবারপাড় এলাকার ঈদুন মিয়া সরকারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর পূর্ব পাড়া এলাকায়।

নিহত শফিউদ্দিন বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারের ৩৬/এ বাসায় বাসায় ঢুকে তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা। মামলার অভিযোগ পত্র ও কারাগার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী ছিলেন শফিউদ্দিন। এছাড়াও তিনি ছিলেন স্থানীয় রেলওয়ে আমবাগান এলাকার আইনশৃপখলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মদ, জুয়া ও রেলওয়ের অবৈধ সম্পদ দখলের প্রতিবাদে সোচ্চার থাকার কারণে রেলওয়ের জায়গা থেকে চার দফায় অবৈধ বস্তি ও কলোনি উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এসব ঘটনার জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

সূত্র জানায় ২০০৩ সালের ১৪ জুন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার সরকারি বাসায় ঢুকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বোমা ফাটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে ঘাতক দল।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রম্নত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এ হত্যা মামলায় দুই ঘাতক শিপন ও ঈমনকে ফাঁসি, সাত আসামিকে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেন।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আসাদুর রহমান বলেন, সাজার বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত রিভিউ খারিজ করে দেয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হলে সেটিও খারিজ হয়ে যায়। উচ্চ আদালতে ফাঁসির সাজা বহাল রাখা এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে কারা বিধি অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হয়। এছাড়া কারা বিধি অনুসারে অন্যান্য আরও কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ফাঁসি কার্যকরের আগে তাদের পরিবারের লোকজন তাদের সাথে দেখা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের পরিবারের লোকজন দুইজনের সাথে শেষ দেখা করবেন।

রাতে উভয়ের ফাঁসি কার্যকরের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved
Theme Customized By LiveTV